রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষায় ভূমির উদ্যোগ

22nd November 2020 10:19 am কলকাতা
রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষায় ভূমির উদ্যোগ


ডেস্ক: গত ২০শে নভেম্বর বাংলার পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় পোস্টারিং কর্ম্মসূচী নেওয়া হয় ভূমিপুত্র উন্নয়ন মোর্চা অফ ইন্ডিয়া(BHUMI)র তরফে।


গতবছর ঠিক এই সময়েই একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পরে রবীন্দ্র সরোবরের জল দূষণ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছিল। তাই এবছর গ্রীন ট্রাইবুনাল, সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্ট আগে থেকেই নির্দেশ দিয়েছিল যে সরোবরের বদ্ধ জলাশয়ে কোন ধর্মীয় উৎসব করা যাবে না। সেইমতো এবছর সরোবরের পরিবেশ দূষণ রোধে রাজ্যসরকার ও কলকাতা পুলিশের উদ্যোগ ছিল চোখে পড়ার মতো। ভূমির সভাপতি শেখ আব্দুল মুরাদ বলেন যে ভূমি বাংলার সংস্কৃতি মেনে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষদেরই

 

সম্মান করে ও শান্তিপূর্ণ সহবস্হানে বিশ্বাসী। বাংলার পরিবেশ রক্ষার্থেই ভূমির এই পদক্ষেপ। এখানে উল্লেখযোগ্য যে এবছর করোনা প্যান্ডেমিকের কারনে বাংলার বাঙালি মুসলমান সমাজ ঈদে জামাত করে নামাজ পড়েন নি। বিভিন্ন পঞ্চগ্রামি ও কলকাতার বিখ্যাত রেড রোডের জামাতও অনুষ্ঠিত হয় নি।  ভূমির সহ সভাপতি ও গবেষক রামিজ রাজা বলেন যে ভারতীয় সংবিধানের আর্টিক্যাল ৫১ তে ভারতের প্রতিটা নাগরিকের মৌলিক কর্তব্য হিসেবে পরিবেশ রক্ষার কথা বলা আছে।

 

ওনারা সেই দায়িত্বই বাংলার ভূমিপুত্রদের মনে করিয়ে দিতে চান। ভূমির সম্পাদক আইনজীবি আবু হেনা হাসানুজ্জামা রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষার্থে রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।





Others News

সংকটে আলিয়া, চিন্তায় পড়ুয়ারা।

সংকটে আলিয়া, চিন্তায় পড়ুয়ারা।


বঙ্গবার্ত ডিজিটাল ডেস্ক: আন্দোলনরত পড়ুয়ারা যে সমস্ত দাবি রেখে এখনো পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলনরত পড়ুয়াদের মারফত পাওয়া তথ্য ..

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৪ ঠা অক্টোবর ২০২১ তারিখ বেলা ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে নিম্নলিখিত দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হবে 

১) বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কোনও অবস্থাতেই হস্তান্তর করা যাবে না, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জমি হস্তান্তর না করার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে জানাতে হবে। সংখ্যালঘু দফতরকেও জমি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত ফেরাতে হবে।
২) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, বর্তমান শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রীর ফি অবিলম্বে মুকুব করতে হবে।
৩) হোস্টেলে থাকা সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কনটিনিয়েশন দিতে হবে, নতুন ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেল এর ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। তালতলা ও পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে আলাদাভাবে ছাত্র ও ছাত্রীদের হোস্টেল নির্মাণ করতে হবে। 
৪) সংখ্যালঘু দফতরকে অবিলম্বে বাজেটে বরাদ্দ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাণ্ডে থাকা টাকা ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।
৫) থিয়োলজি সহ সমস্ত বিভাগে উপযুক্ত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। তালতলা ক্যাম্পাসে উপযুক্ত লাইব্রেরী, অন্যান্য সমস্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষার সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। 
৬) কোনও অজুহাতেই ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ বঞ্চিত করা যাবে না, আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীদের সকলকে প্রাপ্য স্কলারশিপ দিতে হবে। 

  
হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ,  আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের পাশে দাঁড়ান, ছাত্রছাত্রীদের অনির্দিষ্টকালের অবস্থানে সামিল হন।