বেঙ্গল এডুকেশন ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর মানবিক প্রয়াসে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।

17th May 2020 6:37 pm জেলা
বেঙ্গল এডুকেশন ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর মানবিক প্রয়াসে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।


১৭ই মে,জঙ্গীপুরঃ--  লকডাউনে নিরবে কাজ করে চলা বেডসের মুর্শিদাবাদ জঙ্গীপুর মহকুমা কমিটি। আজ আবার পথে পথে মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি জননেত্রী হালিমা খাতুন, বিশিষ্ট উদ্যোগপতি বেডস পরিবারের অন্যতম অভিভাবক জনপ্রিয় রেজাউল করিম সাহেব, জঙ্গীপুর মহকুমা সভাপতি শিক্ষক মইদুল ইসলাম, ও মহকুমা নেতৃত্ব সাংবাদিক রাজু শেখ।

রমজান মাসে রোজা পালন করে প্রখর রৌদ্রে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন সবাই। গ্রামে গ্রামে, বিভিন্ন মহল্লা তে ঢুকে প্রান্তিক মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া, সচেতনতার বার্তা দেওয়া। ঈদের আগে কিছু উপহার হাতে পেয়ে বড়ই খুশি ওঁরা।বেডস পরিবার।

চিত্র: রাজু সেখ।





Others News

মুর্শিদাবাদের শ্রমিক

মুর্শিদাবাদের শ্রমিক


মুর্শিদাবাদের শ্রমিক

✍️ মোয়াজ্জেম হোসেন

সরকারের ব্যর্থতার দায় শ্রমিকদের ঘাড়ে চাপাবেন না। প্লেনে যে লাটসাহেবরা এসেছিলো তখন আপনাদের মুখ বন্ধ ছিলো কেন? রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই তাই ওরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করতে যায়। আমাদের মুর্শিদাবাদ জেলার বেশির ভাগ নির্মান শ্রমিক। তাঁরা পেটের দায়ে কেউ কেরালা, কেউবা মহারাষ্ট্র কেউ দিল্লিতে আর কেউ বা অন্যান্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করেন। হ্যাঁ,ঠিক শুনেছেন। ওরা কাজ করে,শহরে, বন্দরে। চুরি করে খাইনা। ওরা বিজয় মালিয়া,নীরব মোদি নয়, ওরা চোর নয়।
জেলায় এখনও একটা বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি (কাগজে কলমে হয়ছে)। উচ্চশিক্ষার কোনো তেমন ব্যাবস্থা নেই উচ্চশিক্ষার জন্যে কলকাতা বা বাইরের রাজ্যের যেতে হয় আর পড়াশুনার করার পরেও চাকরির কোনো তেমন ব্যাবস্থা নেই।
জেলায় কোন কলকারখানা নেই তাই তো পেটের দায়ে বাইরে যেতে হচ্ছে। 
সরকার এসেছে সরকার গেছে। বঞ্চনার স্বীকারোক্তি নিয়ে তারা আজও হেঁটে চলেছ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত। 
আপনার আহ্লাদের ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরি করেছে, আপনার পার্ক,রেস্তোরাঁ, সুইমিং পুল তৈরি করেছে। এতো যে চেচামেচি করছেন,বলছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য করোনা বেড়ে গেল। সরকার বাহাদুর কে প্রশ্ন করতে পেরেছেন? লাটসাহেব পরিবারের ছেলেমেয়েরা যখন বিদেশ ফেরত এলো তখন কি প্রশ্ন করতে পেরেছে? পারেননি। কারণ শ্রমের মূল্য আপনারা বোঝেন না। শ্রমিক,কৃষকের ব্যথা আপনারা বোঝেন না।
আজ লকডাউন এর 64 দিন পার হয়ে গেল ঈঁদ চলে গেলো কিছু শ্রমিক বাড়ি ফিরেছে কিন্তু বেশির ভাগই এখনও বাইরে, খাদ্যের অভাবে, জলের অভাব, থাকার অভাব, কাজ সব বন্ধ ফোনে পরিবারের সঙ্গে হয়তো কথা হচ্ছে কিন্তু সে তো আর কথা না!! কান্নাই ভরা দুঃখ যন্ত্রণার আদানপ্রদান ই হচ্ছে এ টুকু ও তারা জানে না এই আদান প্রদান ও আর কত দিন চলবে কি! একরাশ ত্রাস নিয়ে বাঁচে আছে কেউ বা মারা গেছে।

মুর্শিদাবাদের শ্রম আর শ্রমিকের ব্যথা যন্ত্রণা জানতে হলে একবার মুর্শিদাবাদকে হেঁটে দেখুন। কথায় কথায় খবরের  হেডলাইনে " পিছিয়ে পড়া মুর্শিদাবাদ " খুব সুন্দর ভাবে ব্যবহার হয়। 
কিন্ত মুর্শিদাবাদ পিছিয়ে পড়া নয়। মুর্শিদাবাদ এগিয়ে থাকা।
লর্ড ক্লাইভ একসময় সঙ্গে লন্ডনের এর তুলনা করে লিখেছিলেন 'The city of Murshidabad is as extensive, populus and rich as the city of London, with this difference that they are individual in the first possessing infrantly greater than any of the last city'.