মিশন ন্যায় এনজিও এর উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও সচেতনতা বার্তা প্রদান।

18th May 2020 1:55 pm জেলা
মিশন ন্যায় এনজিও এর উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও সচেতনতা বার্তা প্রদান।


খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে ও সচেতনতার বার্তা দিতে উদ্যোগী Mission Nyai NGO  মিশন ন্যায় এনজিও

করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে কখনো পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং করে, কখনো বা লিফলেট বিলি করে, আবার কখনো রাস্তায় ছবি এঁকে সাধারণ মানুষকে প্রায়ই বার্তা দিয়ে সচেতন করেছে মিশন ন্যায় এনজিও।

যেদিন থেকে লকডাউন শুরু সেদিন থেকে এই পরিবার অর্থাৎ এই সংস্থার কোন সদস্য আর ঘরে বসে নেই কারণ এই পরিস্থিতি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সেটা তারা সকলেই জানে এবং আগেও এইরকম ভাবে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং কোনরকম দেরী না করে  সেই দিন থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত পরিস্থিতির শিকার যারা ঠিকমতো খেতে পারছেন না তাদের বাড়িতে পৌঁছে গেছে মিশন ন্যায় এনজিও, তুলে দিয়েছে খাদ্যসামগ্রী। 

হয়তো নাম শুনে থাকবেন Mission Nyai NGO  মিশন ন্যায় এনজিও গত দু বছর থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এগিয়ে চলেছে এই সংস্থা। এই সংস্থার সদস্যদের দেখা গেছে একদিনে ৮ জন ১০ জন সদস্য'রা রোগীর প্রাণ বাঁচাতে রক্ত দিতে ছুটে গিয়েছে এক জেলা থেকে অন্য জেলায়, পাতা ভর্তি খবরও হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়। আরো বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে বিভিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে সহযোগিতা করছে তবে কোথাও হয়তো মিশন ন্যায়ের চিন্তাভাবনা একটু হলেও আলাদা কেননা যাদের উত্থান শুরু হয়েছিল মানুষের প্রাণ বাঁচাতে রক্তের জোগান হোক বা চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতা বা পাশে থেকে সহযোগিতা প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই সংস্থার সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের চিত্র আমরা প্রায়ই দেখেছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই হলো প্রথম কোন সংস্থা যেটি বর্তমান পশ্চিমবাংলায় লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর দিন থেকেই গ্রামগুলিকে সচেতন করতে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় দেখা গেছে এই পরিবারের সদস্যদের।

 





Others News

মুর্শিদাবাদের শ্রমিক

মুর্শিদাবাদের শ্রমিক


মুর্শিদাবাদের শ্রমিক

✍️ মোয়াজ্জেম হোসেন

সরকারের ব্যর্থতার দায় শ্রমিকদের ঘাড়ে চাপাবেন না। প্লেনে যে লাটসাহেবরা এসেছিলো তখন আপনাদের মুখ বন্ধ ছিলো কেন? রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই তাই ওরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করতে যায়। আমাদের মুর্শিদাবাদ জেলার বেশির ভাগ নির্মান শ্রমিক। তাঁরা পেটের দায়ে কেউ কেরালা, কেউবা মহারাষ্ট্র কেউ দিল্লিতে আর কেউ বা অন্যান্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করেন। হ্যাঁ,ঠিক শুনেছেন। ওরা কাজ করে,শহরে, বন্দরে। চুরি করে খাইনা। ওরা বিজয় মালিয়া,নীরব মোদি নয়, ওরা চোর নয়।
জেলায় এখনও একটা বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি (কাগজে কলমে হয়ছে)। উচ্চশিক্ষার কোনো তেমন ব্যাবস্থা নেই উচ্চশিক্ষার জন্যে কলকাতা বা বাইরের রাজ্যের যেতে হয় আর পড়াশুনার করার পরেও চাকরির কোনো তেমন ব্যাবস্থা নেই।
জেলায় কোন কলকারখানা নেই তাই তো পেটের দায়ে বাইরে যেতে হচ্ছে। 
সরকার এসেছে সরকার গেছে। বঞ্চনার স্বীকারোক্তি নিয়ে তারা আজও হেঁটে চলেছ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত। 
আপনার আহ্লাদের ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরি করেছে, আপনার পার্ক,রেস্তোরাঁ, সুইমিং পুল তৈরি করেছে। এতো যে চেচামেচি করছেন,বলছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য করোনা বেড়ে গেল। সরকার বাহাদুর কে প্রশ্ন করতে পেরেছেন? লাটসাহেব পরিবারের ছেলেমেয়েরা যখন বিদেশ ফেরত এলো তখন কি প্রশ্ন করতে পেরেছে? পারেননি। কারণ শ্রমের মূল্য আপনারা বোঝেন না। শ্রমিক,কৃষকের ব্যথা আপনারা বোঝেন না।
আজ লকডাউন এর 64 দিন পার হয়ে গেল ঈঁদ চলে গেলো কিছু শ্রমিক বাড়ি ফিরেছে কিন্তু বেশির ভাগই এখনও বাইরে, খাদ্যের অভাবে, জলের অভাব, থাকার অভাব, কাজ সব বন্ধ ফোনে পরিবারের সঙ্গে হয়তো কথা হচ্ছে কিন্তু সে তো আর কথা না!! কান্নাই ভরা দুঃখ যন্ত্রণার আদানপ্রদান ই হচ্ছে এ টুকু ও তারা জানে না এই আদান প্রদান ও আর কত দিন চলবে কি! একরাশ ত্রাস নিয়ে বাঁচে আছে কেউ বা মারা গেছে।

মুর্শিদাবাদের শ্রম আর শ্রমিকের ব্যথা যন্ত্রণা জানতে হলে একবার মুর্শিদাবাদকে হেঁটে দেখুন। কথায় কথায় খবরের  হেডলাইনে " পিছিয়ে পড়া মুর্শিদাবাদ " খুব সুন্দর ভাবে ব্যবহার হয়। 
কিন্ত মুর্শিদাবাদ পিছিয়ে পড়া নয়। মুর্শিদাবাদ এগিয়ে থাকা।
লর্ড ক্লাইভ একসময় সঙ্গে লন্ডনের এর তুলনা করে লিখেছিলেন 'The city of Murshidabad is as extensive, populus and rich as the city of London, with this difference that they are individual in the first possessing infrantly greater than any of the last city'.