ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে

27th May 2020 7:35 am দেশ ও বিদেশ
ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে


ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে। উত্তপ্ত লাদাখ

ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে। উত্তপ্ত লাদাখ। করোনা পরিস্থিতিতে কী ক্রমশ যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? সেনাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেনাকে নির্দেশ দিয়েছেন, মহড়া শুরু করে দেওয়ার৷ একই সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷
বেজিং দুই থেকে আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন করেছে লাদাখে৷ সূত্রের খবর, বাঙ্কার তৈরিরও চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং৷

সেনা সূত্রে খবর, পাল্টা ভারতও বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে। মে মাসের ৫ তারিখ থেকেই লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও চিন সেনার সংঘর্ষ চলছে৷ ৯মে একটি ভারতীয় টহলদারী দলের কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন কর্মীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে চিনা সেনারা।

​​​​​​





Others News

আমেরিকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে লিখছেন শৌর্যদীপ্ত

আমেরিকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে লিখছেন শৌর্যদীপ্ত


ফেসবুক সংগৃহীত: বিদেশের যেকোনো প্রান্তে জনগণের জঙ্গি আন্দোলনকে সমর্থন সবাই করে, আন্তরিকভাবেই করে, সেখানকার আন্দোলনরত বিদ্রোহী জনগণের আন্দোলনকে সমর্থন করাই উচিত। তবে শুধুই কি বিদেশের আন্দোলন কে সমর্থন করেই কেল্লা ফতে হবে? নাকি নিজের দেশে যেই ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থান হয়েছে তার বিরুদ্ধেও জঙ্গি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে?

ফ্রান্সের শ্রমিক আন্দোলন, কাটালোনিয়া সহ বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে "লাল সেলাম" জানানো সরকারি বামের কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী দের সাথে তুলনা করে থাকে। আবার কিছু সংগঠন বিরোধী লোক, জনগণ কে কোনো দলের ছাত্র ছায়ায় বা ছাত্র দের তাদের প্রতিনিধি হিসেবে গড়ে ওঠা ছাত্র সংগঠনের ছাত্র ছায়ায় সংগঠিত হওয়া বিরোধী  "না সংগঠনের" সদস্যরা, যারা ইতি মধ্যেই নিজেরা সংগঠিত সংগঠন হয়ে বসে রয়েছে, নিজেদের মধ্যবিত্ত ও মধ্যপন্থা চাপানোর চেষ্টা করে থাকে ভারতের জনগণের জঙ্গি আন্দোলন ভেঙে দেওয়ার জন্য। এই সরকারি বাম ও না সংগঠন গুলি দেশের জনগণের বিপ্লবী চেতনা কে নিজেদের সংশোধনবাদী ও মধ্যপন্থি রাজনীতির দ্বারা পরিচালনার চেষ্টায় মত্ত থাকে।

বর্তমানে যেই "আজাদী" স্লোগানে গোটা ভারত কেঁপে উঠছে ঠিক তখন একবার পুরোনো কথা মনে করিয়ে দিতে চাইছি, ২০১৬ সালে যখন বুরহান ওয়ানী শহীদ হন, সেই সময় "আজাদী" স্লোগান দিলে UAPA পর্যন্ত জুটতো। যখন কলকাতায় এই "না সংগঠন" ও সরকারি বামেরা "আজাদী" স্লোগান দিতে 10 বার ভাবতো, সেই সময়ই কিছু "হঠকারী" পড়ুয়া কলকাতায় এক মিছিলে "আজাদী" স্লোগান তোলে, তাতে করে "না সংগঠনের" সদস্যরা এই স্লোগান তোলা কে টিভির সামনে সমালোচনা করে। আজ তারাই "আজাদী" স্লোগান তুলি মিছিল কাঁপাচ্ছে।

ছাত্র আন্দোলনের যেই ইতিহাস তা হচ্ছে জঙ্গিপনার ইতিহাস, সেটা ফ্রান্সের ছাত্র আন্দোলনই হোক বা ভারতে ৬০-৭০ এর ছাত্র আন্দোলন। ছাত্ররা আন্দোলনে নামলে ভাঙচুর করবে, পুলিশ কে মারবে এইটা স্বাভাবিক, তবে সরকারি বাম ও "না সংগঠনগুলি" এই ইতিহাস কে দায়িত্ব সহকারে মুছে দিয়ে " শান্তিপূর্ণ সাংবিধানিক" আন্দোলনের এক "বৈপ্লবিক" লাইন হাজির করেছে বর্তমান ছাত্র-যুব দের সামনে। এই "বৈপ্লবিক" লাইন হচ্ছে প্রতিরোধ না করে আক্রান্ত হওয়ার লাইন, এই লাইন শাসক শ্রেণীর পায়ে জনগণের বিপ্লবী চেতনাকে সমর্পণের লাইন।

"জবাব তোমায় দিতে হবে নইলে লড়াই জঙ্গি হবে" এই স্লোগান কে চাপা দিয়ে নতুন লাইনের স্লোগান " জবাব তোমায় দিতে হবে নইলে লড়াই জমিয়ে হবে"। এরা ভালোবাসে "আমরা আক্রান্ত, আমাদের পাশে দাঁড়ান" বলতে, তবুও পাল্টা প্রতিরোধ যে দরকার তার কথা এরা কোখুনোই বলবে না। এরা শত্রুর চরিত্র বুঝতে ভুল করে তাদের প্রচারেই নিজেদের পা জড়িয়ে বসে থাকে। যেমন দেখুন হিন্দুত্ববাদীরা প্রচার করে মুসলিমরা পাকিস্তানি তাই তারা ভারতের সংবিধান মানেনা, রাষ্ট্রীয় পতাকা ধরেনা। আর "না সংগঠন" ও সরকারি বামরা সেই শুনে caa/nrc বিরোধী আন্দোলনে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে রাষ্ট্রীয় পতাকা গুঁজে দিয়ে সংবিধান পাঠ করানো শুরু করলো। নিজের দেশের জঙ্গি আন্দোলনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে অন্য দেশের জঙ্গি আন্দোলনকে কিভাবে সমর্থন করে দ্বিচারিতা করেন এরা সেটা প্রমাণিত প্রতি পদে।

কৃষক শ্রমিকদের বিপ্লবী জঙ্গি আন্দোলন ও রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের লড়াই থেকে সরিয়ে রেখে তাদের শুধু দাবি দাওয়ার সংস্কারবাদী, অর্থনীতিবাদী আন্দোলনের মধ্যে আটকে রেখে ভোট ব্যাংক হিসেবে কাজে লাগাতে চায় সরকারি বামের। ইতিহাস যেখানে শিক্ষা দেয় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে  দরকার ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিপ্লবী জঙ্গি আন্দোলনের সেখানে, ভারতের সরকারি বামেরা প্রচার করে গণতন্ত্র ও সংবিধান দিয়ে ফ্যাসিবাদকে আটকানোর। 

ভারতের যেখানে সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন চলমান তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এরা ফ্রান্স, ফিলিপিন্সের সংগ্রামীদের ঝুটা লাল সেলাম জানিয়ে থাকে। বন্দুক হাতে অন্য কোনো দেশের আদিবাসীদের ছবি সোসিয়াল মিডিয়ায় দেখলে এদের বড়ই আনন্দ হয়, তবে নিজের দেশের আদিবাসীরা বন্দুক ধরলে সেখানে রাষ্ট্রীয় বাহিনী পাঠানোর পরামর্শ দেয়।

ভারতে ফ্যাসিবাদের এই গেরুয়া সন্ত্রাসের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আজ আর সংবিধান পাঠ গণতন্ত্র বাঁচাও বলে লাভ নেই, লাঠির মুখে গানের সুর গেয়ে লাভ নেই, এইটা প্রতিবাদের নয় প্রতিরোধের সময়। শ্রমিক-কৃষিক-ছাত্র দের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবী জঙ্গি সংগ্রামই ব্রাম্মন্যবাদ, ফ্যাসিবাদকে গোড়া থেকে নির্মূল করবে। কারণ শত্রুরা সশস্ত্র তারা সংবিধান মেনে হামলা করবেনা, তাই জনগণেরও দায় নেই সংবিধান মানার আর ফ্যাসিস্ট দের প্রতি গণতন্ত্র প্রদর্শন করে শান্তি রাখার।

–শৌর্যদীপ্ত