ক্যান্সারের কাছে হার প্রেমিকার, শেষ ইচ্ছায় হাসপাতালেই সিঁদুর দান।

3rd June 2020 3:23 pm রাজ্য
ক্যান্সারের কাছে হার প্রেমিকার, শেষ ইচ্ছায় হাসপাতালেই সিঁদুর দান।


শিলিগুড়ি, 6 অগাস্ট : শ্বাস নিতে বড্ড কষ্ট হচ্ছিল মধ্য কুড়ির মেয়েটার ৷ ঠিক মতো কথাও বলতে পারছিলেন না ৷ অস্ফুট স্বরে কেবল বলেছিলেন শেষ ইচ্ছেটা ৷ বলেছিলেন, মনের মানুষটা যেন একটি বার তাঁর সিঁথিটা রাঙিয়ে দেন ৷ আর মনের মানুষের সেই কথা রাখতে কসুর করেননি সুব্রত ৷ দশ বছর ধরে তো এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলেন তিনি ৷ মেয়ের কথা মতো, হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটেই হয়েছিল ব্যবস্থা ৷ সেখানেই মনের মানুষকে সিদুঁর পরিয়ে আপন করে নিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, আটকে রাখতে পারলেন না ৷

মাত্র দু'ঘণ্টার মধ্যে সব বন্ধন ছেদ করে চলে গেলেন বীথি ৷ গল্প-উপন্যাস, সেলুলয়েডের পর্দাকে হার মানানো এ বৃত্তান্ত । ছোটোবেলার পরিচয় খুব সহজেই গাঢ় হয়েছিল ৷ ছোটো থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন ৷ সদ্য যৌবনে পা রাখা দুটো মন নিজেদের মতো করে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছিলেন ৷ কিন্তু, হঠাৎ একটা খবর দমকা হাওয়ার মতো সব কিছুকে এলোমেলো করে দিল ৷ জানা গেল, মনের মানুষটা জটিল কর্কট রোগে আক্রান্ত ৷ ছোটো মেয়ের এমন অসুখের কথা শুনে প্রথমে নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারেননি কালিপদ দাস

৷ ভারতীয় রেলের কর্মী কালিপদবাবুর তিন মেয়ে, এক ছেলে ৷ শিলিগুড়ির ডাবগ্রামের দাস বাড়ির ছোটো মেয়েটাকে দেখে ভালো লেগেছিল উত্তর দিনাজপুরের সুব্রত কুণ্ডুর ৷ সেই ভালোলাগা ভালোবাসায় পরিণত হতে খুব একটা সময় নেয়নি ৷ যখন যৌবনের দুটি হাত এক সঙ্গে অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখছিল, তখনই সামনে আসে বীথির অসুখের কথা ৷ শুরু হয় চিকিৎসা ৷ শুরু হয়েছিল কেমো থেরাপি ৷ যার জেরে মাথায় চুল প্রায় সবটাই উঠে যেতে থাকে

৷ আস্তে আস্তে বুড়িয়ে যেতে থাকেন বীথি ৷ হারিয়ে যেতে থাকে যৌবনের সেই লাবণ্য ৷ তখন 2017 সাল৷ একটি হাতও কেটে বাদ দিতে হয় ৷ ফুটফুটে মেয়েটা নিজেকে গুটিয়ে নিতে থাকে সকলের কাছ থেকে ৷ কিন্তু, সে দিনও একটি বারের জন্য মনের মানুষটার কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেননি পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুব্রত ৷ পাশে থেকেছেন, সাহস দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ৷ হাতে হাত ধরে বলেছিলেন লড়াই করার কথা৷ চিকিৎসার প্রয়োজনে কখনও মুম্বই, কখনই শিলিগুড়ি যেতে হয়েছিল বীথিকে ৷

কখনই বীথিকে সঙ্গ ছাড়া করেননি সুব্রত ৷ প্রথমে না জানলেও ততদিনে সুব্রতর পরিচয় জানা হয়ে গেছে দাস পরিবারের সকলে ৷ এক দিন মেয়ের মোবাইলে চোখ পড়তেই সব স্পষ্ট হয়েছিল কালিপদ দাসের ৷ বোন ক্যানসারে আক্রান্ত মেয়ের ভবিষ্যৎ জানলেও সাহস পাননি বাধা দেওয়ার ৷কিন্তু, বাস্তব আর স্বপ্নের মধ্যে তফাতটা আকাশ-পাতাল ৷ মন শক্তি জোগানোর কথা বললেও, বীথির শরীর কিন্তু ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছিল ৷ হাসপাতালে ভরতি করানো হয় তাঁকে ৷ গত শনিবার ঠিক মতো কথাও বলতে পারছিলেন না ৷ বারবার বুজে আসছিল চোখ দুটো

৷ চিকিৎসকরাও আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ তখনই মুখফুটে শেষ ইচ্ছায় কথাটা বলেছিলেন বীথি ৷ মেয়ের সেই ইচ্ছাকেই মর্যাদা দেন তাঁর বাবা-মা ৷ আয়োজন করা হয় বিয়ের ৷ বীথির নাকে তখন অক্সিজেন মাস্ক । Subrata-Bithi সিঁদুরদানের পর হাসপাতালের বেডে সুব্রতর সঙ্গে বীথি ।স্বপ্ন পূরণের কিছু মুহূর্ত পড়েই বিছানায় ঢলে পড়েন বীথি ৷ তখনও একটা হাত সুব্রতর হাতে ধরা ৷ শরীরটা আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয় পড়তে থাকে৷ চিকিৎসকরা শেষ চেষ্টা শুরু করার আগেই সব শেষ ৷ চোখের সামনেই বীথিকে শেষ বিদায় দিলেন সুব্রত৷ মেয়েকে হারালেও যেন একটা ছেলে পেলেন বীথির বাবা-মা ৷

তাঁরা বলেছেন, মেয়ের কঠিন সময় যে ভাবে সুব্রত পাশে ছিল, তা কথায় প্রকাশ করতে পারব না৷ মেয়েকে হারিয়েছি ৷ কিন্তু, এমন একটা ছেলেকে পাব ভাবতেও পারিনি ৷ আর সুব্রত! তখনও চোখের কোণায় চিক চিক করছে বিন্দুগুলো ৷ শত চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হল না ৷ কথা জড়িয়ে আসছে ৷ একটু যেন একলা থাকতে চাইছেন ৷ চার পাশের পরিবেশটা তখন সুব্রতর কাছে বড্ড অচেনা ৷ তখনও ভাবেননি কী করবেন ৷ বাকি জীবনটা কি একলাই কাটাবেন তিনি ! স্মৃতিটুকু সম্বল করে..





Others News

"ফরেস্ট ম্যান অফ ইন্ডিয়া" নিজের হাতে তৈরি করেছেন আস্ত এক অরণ্য!

"ফরেস্ট ম্যান অফ ইন্ডিয়া" নিজের হাতে তৈরি করেছেন আস্ত এক  অরণ্য!


বঙ্গবার্ত ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ করে একা একটা আস্ত অরণ্য উপহার দেওয়া কী আর মুখের কথা! লেগেছিল চল্লিশটা বছর। দৃঢ় সংকল্পের এই কাহিনী জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে অনেকগুলো বছর আগে। কীভাবে সাধারণ এক গোয়ালা পরিবারের ছেলে যাদব হয়ে উঠলেন বাস্তবের ‘অরণ্যদেব’, সেই গল্পই জানা যাক আজ।
১৯৬৫ সাল। অসমের ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে ভাসছিল ছোট্ট একটি দ্বীপ অরুণা সাপোরি। কিন্তু ভূমিধ্বসের কারণে ধীরে ধীরে গ্রাস করছিল ব্রহ্মপুত্র। ভয়ে সেই দ্বীপ ছেড়ে ১২ কিলোমিটার দূরে মাজুলি দ্বীপে চলে যায় বহু পরিবার। চলে যায় যাদব পায়েংও। দীর্ঘ ১৩ বছর পর ১৯৭৮ সালে জন্মস্থানে ফিরল যাদব পায়েং। কারণ বাবা মা মারা যাওয়ার পর পরিবারের হাল ধরতে হতো তাকেই। ইচ্ছে ছিল, পড়াশোনা ছেড়ে গ্রামের পারিবারিক দুধের ব্যবসা দেখবে সে। কিন্তু ফিরে যা দেখল সে, তা ছিল দুঃস্বপ্নের মতোই। সবুজের লেশমাত্র নেই দ্বীপে। বনজঙ্গল সাফ করে দিয়েছে মানুষের লোভ আর ব্রহ্মপুত্রের খামখেয়ালি গতিপথ। ধূ ধূ মরুভূমির মতো দ্বীপজুড়ে মরে পড়ে আছে কয়েক হাজার সাপ। গ্রামে ফিরে গ্রামবাসীদের কাছে সাপ ও দ্বীপের করুণ অবস্থার কথা বলে ১৬ বছরের কিশোর যাদব। এক বৃদ্ধ গ্রামবাসী তার হাতে তুলে দেন কিছু চারাগাছ। বলেন, “গাছ লাগাও বাবা। তাহলে শুধু সাপ কেন, আমরা সবাই বাঁচব।” সেই থেকে শুরু যাদব পায়েংয়ের অরণ্য অভিযান।বৃদ্ধের দেওয়া গাছের চারাগুলি প্রথমে সে তার খামারের পাশেই বসায়। যাতে রোজ জল দেওয়া যায়। তারপর বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জোগাড় করে হাজার হাজার বীজ। আগামী ৪০ বছর এপ্রিল থেকে জুন, এই তিনমাস ধরে চলতে থাকে তার সবুজ বিপ্লব। নিজের হাতে লাগানো গাছ থেকে ডাল কেটে সেই ডাল নিয়ে নদী পেরিয়ে নদীর চারপাশে সেই ডাল বসানোও ছিল তার রোজনামচা। যার ফলস্বরূপ ৫৫০ হেক্টর বা ১৩৬০ একর জুড়ে গড়ে ওঠে যাদব পায়েংয়ের অরণ্য, যা কিনা নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কের থেকেও বড়ো। ধীরে ধীরে এই অরণ্যে বাড়তে থাকে বাঘ, হরিণ, হাতি, গন্ডারদের আনাগোনা। স্থানীয় মানুষ সেই জঙ্গলের নাম দেয় ‘মোলাই কাঠনিবাড়ি’। ২০১২ সালে প্রকৃতির প্রতি তাঁর এই অসামান্য অবদানের জন্য জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘Forest man of India’ শিরোপা দেয়। ওই বছরই ভারতের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জী মুম্বইয়ে যাদব পায়েংকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করেন। ২০১৫ সালে পান পদ্মশ্রী পুরস্কার। তবে পুরস্কার হিসেবে পাওয়া সমস্ত অর্থ তিনি ব্যয় করেছেন বনসৃজনের জন্য।
যেখানে আগে ধূ ধূ করত বালির চর, সেখানে এখন অবস্থান করছে বাঁশ, বহেরা, সেগুন, কাস্টার্ড আপেল, গুলমোহর, তেঁতুল, তুঁত, কাঁঠাল, কুল, জাম গাছের এক ঘন জঙ্গল। আর এর কারিগর একমাত্র ‘মোলাই’। হ্যাঁ, স্থানীয় মানুষদের কাছে এই নামেই পরিচিত যাদব। এত বছর পরেও থেমে থাকেননি।এখনও সময় পেলেই নিজের হাতে লাগান গাছ। সযত্নে বড়ো করে তোলেন। পাশাপাশি এক বন্ধুর সঙ্গে বৃক্ষরোপণের কৌশল নিয়ে বই লেখায় মনোনিবেশ করেছেন তিনি। উদ্দেশ্য, ছোটোদের ছোটো থেকেই গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবহিত করা। ভালো কিছু করার উদ্দেশ্য, অদম্য সাহস ও ইচ্ছাশক্তি থাকলে যে কোনোকিছুই অসম্ভব নয় যাদব পায়েং তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।


বাদাবন বাঁচাতে লড়ছেন ম্যানগ্রোভ ম্যান
*******************************************
সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বাঁচাতে ১০ বছর ধরে লড়াই করছেন এক ভূগোলের শিক্ষক। নদীর জলে ভেসে আসা ম্যানগ্রোভের বীজ সংগ্রহ করে লক্ষাধিক চারাগাছ তৈরি করেছেন উমাশঙ্কর মণ্ডল। সেই ম্যানগ্রোভ আম্ফানের তাণ্ডব থেকে অনেক গ্রামকে বাঁচিয়েছে, তবে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়নি। ঘর-বাড়ি হারিয়ে আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। সেই সব দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছেন সুন্দরবনের ওই 'ম্যানগ্রোভ ম্যান'। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন অসংখ্য অচেনা মানুষ।
গোসাবার সাতজেলিয়া দ্বীপের চরঘেরির বাসিন্দা উমাশঙ্কর বড় হয়েছেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকার ঠিক পাশেই তাঁর বাড়ি। কর্মসূত্রে থাকেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। সেখানকার একটি স্কুলে ভূগোলের শিক্ষকতা করেন। তাঁর স্ত্রীও স্কুলের শিক্ষিকা। বাইরে থাকলেও গ্রামকে ভোলেননি। সুন্দরবনের বাসিন্দা ও ভূগোলের ছাত্র হিসেবে বুঝেছিলেন, বাদাবনের মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে পারে একমাত্র ম্যানগ্রোভই। এ রাজ্যে যত ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে তার প্রথম ধাক্কা সামাল দিয়েছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য। টাকার লোভে সেই ম্যানগ্রোভ চুরি করছে চোরাকারবারিরা। ম্যানগ্রোভ কমে যাওয়ায় অরক্ষিত হয়ে পড়ছে সুন্দরবনের বহু জনপদ। আয়লায় প্রথম সেটা টের পাওয়া গিয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ঝড়ের হাত থেকে সুন্দরবনের মানুষকে বাঁচাতে নিজের উদ্যোগে ম্যানগ্রোভের চারা লাগানোর কাজ শুরু করেন। তাতে এলাকার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও সামিল হয়। এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই।
উমাশঙ্কর বলেন, 'আয়লার পর চরঘেরির আশপাশে বাইন, গরান প্রভৃতি ম্যানগ্রোভের চারা লাগানোর কাজ শুরু করি। নদীতে অনেক ম্যানগ্রোভের বীজ ভেসে আসে। গ্রামের মহিলাদের কাছ থেকে সেটা সংগ্রহ করা হয়। তারপর নদীর পাশে পুঁতে দেওয়া হয়। তা থেকেই ম্যানগ্রোভের চারা তৈরি হয়। এ ভাবে গত ১০ বছরে প্রায় ছ'লক্ষ ম্যানগ্রোভ চারা তৈরি করেছি।'
উমাশঙ্কর জানান, গ্রামের লোকজন ছাড়াও এখন অনেক স্কুলের পড়ুয়াও ম্যানগ্রোভ লাগানোর কাজে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মানুষ এর জন্য অর্থ সাহায্য করছেন। আয়লার সময় ম্যানগ্রোভ ছিল না। তাই বাঁধ ভেঙে গ্রামে নোনা জল ঢুকে গিয়েছিল। আম্ফানের গতিবেগ বেশি হলেও ম্যানগ্রোভ থাকায় ততটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ম্যানগ্রোভ ছিল বলেই বাঁধটা হয়তো রক্ষা পেয়েছে।
ম্যানগ্রোভ রক্ষার লড়াইয়ের পাশাপাশি আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্রাউড ফান্ডিং করেছেন উমাশঙ্কর। খোলা হয়েছে অ্যাকাউন্ট। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। কেউ পোশাক সংগ্রহ করছেন। কেউ আবার নগদ টাকা দিয়ে সাহায্য করছেন।
বিশ্বভারতীর ভূগোলের অধ্যাপক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমি অনেক বার পড়ুয়াদের নিয়ে চরঘেরি গিয়েছি। নিজের হাতে ম্যানগ্রোভের চারা পুঁতেছি। আম্ফানে ওখানকার অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ওঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উমাশঙ্কর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে আমি যতটা পারছি সাহায্য করছি।' টালিগঞ্জের নৃপেন্দ্রনাথ স্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা সায়ন্তনী দাস বসু বলেন, 'উমাশঙ্কর অনেক বছর ধরেই ম্যানগ্রোভ বাঁচানোর কাজ করছে। আমার স্কুলের মেয়েদেরও সেটা দেখিয়ে এনেছি। আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য আমার মতো অনেকেই এগিয়ে আসছে।' তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী, শ্যামবাজারে বাসিন্দা দীপঙ্কর বিশ্বাস বলেন, 'সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ রক্ষার পাশাপাশি উমাশঙ্করের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সুন্দরবনের গরিব ছেলেমেয়েদের জন্যে  বই, খাতা দিয়ে সাহায্য করি আমরা। পাশাপাশি পোশাক সংগ্রহ করেও পাঠাই আমরা।'

তথ্যসূত্রঃ- এই সময়