হাওড়া ব্রিজের উপরে উঠে নোবেল ফিরে পাওয়ার দাবি জানালেন ডলি।

8th June 2020 12:25 am কলকাতা
হাওড়া ব্রিজের উপরে উঠে নোবেল ফিরে পাওয়ার দাবি জানালেন ডলি।


ডিজিটাল ডেস্ক: “ছোটবেলায় আমি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলাম, যা এই মুহূর্তে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের কাছে রয়েছে। তিনি অন্যায় ভাবে আমার নোবেল পুরস্কার নিজের বাড়িতে আটকে রেখেছেন”। এমনই উদ্ভট দাবি করে রবিবার হাওড়া ব্রিজের মাথায় উঠে রীতিমতো তুলকালাম বাধালেন বছর পয়ত্রিশের এক মহিলা। খবর পেয়ে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, দ্রুত পৌঁছে যায় দমকল বাহিনীও। অবশেষে ঘন্টা খানেকের প্রচেষ্টায় পুলিশ ও দমকলের তৎপরতায় নামানো সম্ভব হয় ওই মহিলাকে। এরপরই তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তর বন্দর থানায়। ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা। একেতেই লকডাউন তারপর আবার দিনটা ছিল রবিবার। তাই অন্যদিনের তুলনায় প্রায় ফাঁকাই ছিল হাওড়া ব্রিজ। এমন সময় ওই এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদের কানে ভেসে আসে এক মহিলার চিৎকার। একটু খোঁজ করতেই চোখে পড়ে হাওড়া ব্রিজের ৪ নম্বর পিলারে বেয়ে ক্রমশ উপরে উঠে পড়ছেন মাঝ বয়সী এক মহিলা। রবিবাসরীয় বিকেলে হঠাৎ এমন দৃশ্য দেখে কার্যত হতভম্ভ হয়ে যান কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। দ্রুত খবর দেওয়া হয় নর্থ পোর্ট থানায়। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। তলব করা হয় দমকলকেও। এরপরই শুরু হয় তাকে বাবা-বাছা করে বোঝানোর পালা। কিন্তু কে শোনে কার কথা! নোবেল হারিয়েছে বলে দাবি, একি আর চাট্টিখানিক ব্যাপার! সুতরাং, নিচে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকদের জোর গলায় তিনি জানিয়ে দেন, তার খোয়া যাওয়া নোবেল না ফেরানো পর্যন্ত কিছুতেই নিচে নামবেন না তিনি। দমকল ও পুলিশের কর্তাদের সব প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়ে তিনি দাবি করেন, অমর্ত্য সেনের থেকে তার নোবেল ফেরানোর জন্য বহু কাঠখড় পুড়িয়েছেন তিনি। বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও কিছুতেই কোন লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই এই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে হয়েছে তাকে। এরপর অবশ্য প্রায় ঘন্টাখানেকের প্রচেষ্টায় অবশেষে তাকে নামাতে সক্ষম হয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী।





Others News

সংকটে আলিয়া, চিন্তায় পড়ুয়ারা।

সংকটে আলিয়া, চিন্তায় পড়ুয়ারা।


বঙ্গবার্ত ডিজিটাল ডেস্ক: আন্দোলনরত পড়ুয়ারা যে সমস্ত দাবি রেখে এখনো পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলনরত পড়ুয়াদের মারফত পাওয়া তথ্য ..

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৪ ঠা অক্টোবর ২০২১ তারিখ বেলা ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে নিম্নলিখিত দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হবে 

১) বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কোনও অবস্থাতেই হস্তান্তর করা যাবে না, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জমি হস্তান্তর না করার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে জানাতে হবে। সংখ্যালঘু দফতরকেও জমি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত ফেরাতে হবে।
২) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, বর্তমান শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রীর ফি অবিলম্বে মুকুব করতে হবে।
৩) হোস্টেলে থাকা সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কনটিনিয়েশন দিতে হবে, নতুন ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেল এর ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। তালতলা ও পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে আলাদাভাবে ছাত্র ও ছাত্রীদের হোস্টেল নির্মাণ করতে হবে। 
৪) সংখ্যালঘু দফতরকে অবিলম্বে বাজেটে বরাদ্দ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাণ্ডে থাকা টাকা ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।
৫) থিয়োলজি সহ সমস্ত বিভাগে উপযুক্ত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। তালতলা ক্যাম্পাসে উপযুক্ত লাইব্রেরী, অন্যান্য সমস্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষার সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। 
৬) কোনও অজুহাতেই ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ বঞ্চিত করা যাবে না, আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীদের সকলকে প্রাপ্য স্কলারশিপ দিতে হবে। 

  
হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ,  আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের পাশে দাঁড়ান, ছাত্রছাত্রীদের অনির্দিষ্টকালের অবস্থানে সামিল হন।