সংকটে আলিয়া, চিন্তায় পড়ুয়ারা।

14th October 2021 5:35 pm কলকাতা
সংকটে আলিয়া, চিন্তায় পড়ুয়ারা।


আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৪ ঠা অক্টোবর ২০২১ তারিখ বেলা ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে নিম্নলিখিত দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হবে 

 

১) বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কোনও অবস্থাতেই হস্তান্তর করা যাবে না, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জমি হস্তান্তর না করার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে জানাতে হবে। সংখ্যালঘু দফতরকেও জমি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত ফেরাতে হবে।

২) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, বর্তমান শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রীর ফি অবিলম্বে মুকুব করতে হবে।

৩) হোস্টেলে থাকা সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কনটিনিয়েশন দিতে হবে, নতুন ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেল এর ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। তালতলা ও পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে আলাদাভাবে ছাত্র ও ছাত্রীদের হোস্টেল নির্মাণ করতে হবে। 

৪) সংখ্যালঘু দফতরকে অবিলম্বে বাজেটে বরাদ্দ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাণ্ডে থাকা টাকা ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।

৫) থিয়োলজি সহ সমস্ত বিভাগে উপযুক্ত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। তালতলা ক্যাম্পাসে উপযুক্ত লাইব্রেরী, অন্যান্য সমস্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষার সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। 

৬) কোনও অজুহাতেই ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ বঞ্চিত করা যাবে না, আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীদের সকলকে প্রাপ্য স্কলারশিপ দিতে হবে। 

 

  

হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের পাশে দাঁড়ান, ছাত্রছাত্রীদের অনির্দিষ্টকালের অবস্থানে সামিল হন। 

 

আপনি কেন আলিয়ার আন্দোলন যোগ দেবেন?এখন আপনার বাড়িতে থেকে বাড়ির বিভিন্ন কাজ করা বাকী।আপনার বন্ধুদের সঙ্গে বেড়ানো বাকী।অনেক পড়া বাকী।বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি বাকী।মনের মানুষটার সঙ্গে এখানে ওখানে বেড়ানো বাকী।এতো কিছু বাকী আছে আর আমি আলিয়ায় আন্দোলনে যাব? এই সময় ছুটি তাই বাকী কাজগুলো গুছিয়ে সমাধা করি।তাইতো এসব মনে হচ্ছে তো?বন্ধু এরকম যারা আন্দোলন করছে তাদেরও মনে হয়।তাদেরও পড়াশোনা আছে,তাদেরও বন্ধু বান্ধব আছে সবকিছু আছে।তাদেরও অনেক ইচ্ছা আকাঙ্খা আছে কিন্তু সেই সবকিছু ফেলে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে, ছাত্র ছাত্রীদের স্বার্থে,সমাজের স্বার্থে,দেশের স্বার্থে,জাতির স্বার্থে আজ গত ৭ দিন ধরে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজের সম্পদ,জাতির সম্পদ,দেশের সম্পদ।একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কয়েকশো বছরের ঐতিহ্য, হাজার হাজার মানুষের ভাবাবেগ,হাজার হাজার প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যৎ জড়িত। সেই ঐতিহ্য মণ্ডিত বিশ্ববিদ্যালয় আজ চক্রান্তের শিকার, কিছু অসাধু, গদ্দার মানুষের অপচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের সম্মুখীন। ২টি অর্থবর্ষের কয়েকশো কোটি টাকা থেকে আলিয়াকে বঞ্চিত করছে।আলিয়ার পার্কসার্কাস ক্যাম্পাসের যেখানে হস্টেল,খেলার মাঠ,ল্যাব, ফ্যাকাল্টিদের কোয়ার্টার ইত্যাদি তৈরি হওয়ার কথা।সেই জমি অন্য প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দিচ্ছে MA & ME দপ্তরের সেক্রেটারী স্বৈরাচারী গোলাম আনসারী।বলুনতো এঅন্যায় মানা যায়? আপনি হয়তো ভাবছেন আপনি তো হস্টেল পাননি আর আপনার কোর্স শেষ আর আন্দোলন করে কি হবে।বন্ধু আপনার ছোট ভাই বোন, আপনার পরবর্তী প্রজন্ম এখানে পড়তে আসবে আর তারাও এই একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হোক।এটা নিশ্চিত চাননা? তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আপনাকে আসতেই হবে।কাল যখন আপনার কেন আত্মীয় আলিয়াতে হস্টেলের অভাবে পড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে আপনি মেনে নেবেন?এবার আসি নিজের জন্য আন্দোলনে কেন আসবেন।আপনি জানেন আন্দোলন চলাকালীনও কুলাঙ্গাররা হোটেলের এসি রুমে বসে আপনার আমার আড়ালে আলিয়া ধ্বংসের নীল নকশা তৈরি করছে।মাইনোরিটি স্টাটাস প্রাপ্ত মিল্লি আলামিন কলেজকে তিলে তিলে কিভাবে শেষ করা হয়েছে? মিল্লি কলেজ এখন নিভে যাওয়া প্রদীপের মতো ধুক ধুক করে অস্তিত্বের প্রমান দিচ্ছে। আমার আপনার আলিয়ারও সেই অবস্থার নীল নকশা প্রস্তুত করছে।যদি এখন না আমরা প্রতিবাদ করি তবে এই বিশ্ববিদ্যালয় শেষ হয়ে গেলে এর সার্টিফিকেট নিয়ে যেখানে যাবেন লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার কাঁটায় বিদ্ধ হবেন।তখন মনে হবে ইস যদি এটাকে রোখা যেত! যেসমস্ত ডিমড বিশ্ববিদ্যালয় গুলো উঠে গেছে তাদের সার্টিফিকেটের মর্যাদা কেউ দিতে চায়না।যদি ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় টাকার অভাবে ন্যাক ভিজিট করাতে না পারে তাহলে এমনিতেই আলিয়ার মান ও সার্টিফিকেটের মান ফিকে হয়ে যাবে।তাই আর নয় চুপ থাকা সমস্ত বঞ্চনার বিরুদ্ধে একজন ছাত্র /ছাত্রী হিসাবে,একজন শিক্ষিত সুনাগরিক হিসাবে আন্দোলনে শামিল হতেই হবে। আপনাকে প্রতিদিন আসতে বা থাকতে হবেনা আপনি আপনার মূল্যবান সময় থেকে একটু সময় বের করে আন্দোলনে শামিল হোন।কম করে ১ ঘন্টা হলেও আপনি সময় দিন।নয়তো আপনি একদিন বিবেকের দংশনে দংশিত হবেন।বন্ধু আর নয় এবার জেগে উঠুন।আর উচ্চকিত কণ্ঠে বলুব। দুটি অর্থবর্ষের টাকা কার স্বার্থে বন্ধ হলো এর জবাব চাই।কার স্বার্থে আলিয়ার জমি হস্তান্তর গোলাম আনসারী জবাব দাও।

 





Others News

সংকটে আলিয়া, চিন্তায় পড়ুয়ারা।

সংকটে আলিয়া, চিন্তায় পড়ুয়ারা।


বঙ্গবার্ত ডিজিটাল ডেস্ক: আন্দোলনরত পড়ুয়ারা যে সমস্ত দাবি রেখে এখনো পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলনরত পড়ুয়াদের মারফত পাওয়া তথ্য ..

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৪ ঠা অক্টোবর ২০২১ তারিখ বেলা ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে নিম্নলিখিত দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হবে 

১) বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কোনও অবস্থাতেই হস্তান্তর করা যাবে না, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জমি হস্তান্তর না করার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে জানাতে হবে। সংখ্যালঘু দফতরকেও জমি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত ফেরাতে হবে।
২) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, বর্তমান শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রীর ফি অবিলম্বে মুকুব করতে হবে।
৩) হোস্টেলে থাকা সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কনটিনিয়েশন দিতে হবে, নতুন ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেল এর ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। তালতলা ও পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে আলাদাভাবে ছাত্র ও ছাত্রীদের হোস্টেল নির্মাণ করতে হবে। 
৪) সংখ্যালঘু দফতরকে অবিলম্বে বাজেটে বরাদ্দ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাণ্ডে থাকা টাকা ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।
৫) থিয়োলজি সহ সমস্ত বিভাগে উপযুক্ত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। তালতলা ক্যাম্পাসে উপযুক্ত লাইব্রেরী, অন্যান্য সমস্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষার সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। 
৬) কোনও অজুহাতেই ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ বঞ্চিত করা যাবে না, আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীদের সকলকে প্রাপ্য স্কলারশিপ দিতে হবে। 

  
হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ,  আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের পাশে দাঁড়ান, ছাত্রছাত্রীদের অনির্দিষ্টকালের অবস্থানে সামিল হন।