বঙ্গ বার্তা: গাইডেন্স একাডেমি (জঙ্গীপুর ক্যাম্পাস), গাইডেন্স ফাউন্ডেশন (ইংরেজি মাধ্যম স্কুল) এবং গাইডেন্স একাডেমি (কলকাতা ক্যাম্পাস) – এই তিনটি স্কুল গাইডেন্স ফাউন্ডেশন ট্রাষ্ট – এর নিয়ন্ত্রণাধীনে চলে। যার পরিচালনার মূলেই রয়েছেন মাননীয় ইমদাদুল হক মহাশয়। তাঁর ছত্রছায়া ও পথ প্রদর্শনাতেই গাইডেন্সের আবহ ও পরিবেশ রচিত। গাইডেন্স একাডেমি (জঙ্গীপুর ক্যাম্পাস) উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ ও শিক্ষা সংসদ প্রদত্ত অনুমোদিত স্কুল (WBBSE, Index No. – E3 - 089 & WBCHSE, HS Code - 116299) এবং গাইডেন্স ফাউন্ডেশনও সেইরূপে C.B.S.E New Delhi (Affiliation No. - 2430300) দ্বারা অনুমোদিত। এখানে পর্ষদ ও বোর্ডের নির্দিষ্ট কার্যক্রম অনুযায়ী বিদ্যালয় পরিচালিত হয়। স্কুলের আবহ ও পরিবেশ সুষ্ঠ ও বিজ্ঞান সম্মত সাংস্কৃতিক চর্চার সঙ্গে সম্পর্কিত। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী এবং কর্মীবৃন্দ সকলেই জানেন যে, পড়াশোনা ও শিক্ষা দীক্ষার মধ্য দিয়েই মানুষের মন পরিপুষ্ট হয়। সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনন গঠনের কাজে গাইডেন্স একাডেমি তথা গাইডেন্স ফাউন্ডেশন নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ও মনন গঠনের ভাবনায় ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে সেই সঠিক পথ দেখাতেই গাইডেন্স পরিবার সচেষ্ট। এখানে কোনো রকম ধর্ম বিরোধিতা না করে পবিত্র গ্রন্থের (কোরান, রামায়ণ, মহাভারত, গীতা, ত্রিপিটক, দ্যস ক্যাপিটাল) বিজ্ঞান সম্মত ও সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করে তার চর্চা করা হয় ও সেই পবিত্র গ্রন্থগুলি নিয়মিত পাঠদানে উৎসাহ প্রদান করা হয়। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ও লালন ভাবনার প্রকৃত তত্ত্ব উপলব্ধি এবং সেই দর্শনের বাস্তব প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা সদা সচেষ্ট। এখানে সকলেই সমভাবে স্বাধীনতা ভোগ করে। শুধু তাই নয়, যে কোনো সমস্যার সমাধানে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে এক সঙ্গে বসা হয় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা হয়। এখানে খাওয়া-দাওয়া থেকে বসবাস পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী সহ কর্মীবৃন্দ সকলেই সম অধিকার ভোগ করে। ন্যায় ও অন্যায়ের বোধ এখানে জাগানো হয়।
কিন্তু কিছু সময় ধরে আমরা লক্ষ্য করছি যে, বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়াতে ও লোকমুখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কু-মন্তব্য, অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। আমরা গাইডেন্স পরিবারের সকল প্রকৃত কর্মীবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। মনে হচ্ছে যে, বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজকর্ম ও ভর্তি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য কিছু অসাধু ও কুচক্রী ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে বিদ্যালয়ের ভাবমুর্তিকে নষ্ট করার জন্য এই রকম জঘন্য অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বার্তা ছড়াচ্ছে।